অপ্রতিরোধ্য গোয়া


গোয়া -২
পুনে-২

পুনের বালেওাদি স্টেডিয়াম এ ঘটল নতুন ইতিহাস, ইন্ডিয়ান সুপার লীগ এর কোন ম্যাচ যেটা অমিমাংসিত রইল।  ৯০ মিনিটের মাথায় আদ্রিয়ান মুতুর  গোল এ ২-২ শেষ হয়। খেলা ২-২ এ শেষ হলেও আরও বেশ কয়েকটি গোলএর সুযোগ ছিল। প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল গোয়া। এউগেনেসন এর গোলে পুনে এগিয়ে গেলেও রেফাএল এর করা গোলে গোয়া সমতা ফিরিয়ে আনে। পুনের ঘরের মাঠে দর্শকরা যে ম্যাচ দেখল তা উপভোগ করার মতই। ৯০ মিনিটের মাথায় গোল ও প্রমান করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দুই দল লড়াই এর মধ্যেই ছিল।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে হয় মুতুকে। প্রশংসনীয় প্রাপ্য তার অসাধারণ শটের জন্য। ৫ মিনিটের মাথায় জোরালো শট প্রতিহত হয় কাট্টিমনির জন্য।  জাকোরাকে বেশ আত্মবিশ্বাসী লেগেছে। খেলার মধ্যে ছিল নিয়ন্ত্রন। মাঝমাঠে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছে। দলের মধ্যে ছিল গতি। ৩ পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল তারা। ডাভিড প্লাট বেশ শান্ত ছিলেন। তিনি নিশ্চয় ভরসা রেখে ছিলেন তার ছেলেদের প্রতি। কালু উচে এবং তুনাচায় সানলি কে মাঠে নামানো না নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে তার বিরুদ্ধে তাহলে তার সথিক উত্তর ছিল আদ্রিয়ান মুতু।
 জিকোর ছেলেরা লীগ তালিকায় নিজেদের স্থান ধরে রাখার জন্যই মাঠে নেমেছিল। প্রথম অর্ধে যে ভাবে শেষ করেছিল সেই জোশ নিয়েই ভাবেই দ্বিতীয় অর্ধে ফিরে এল গোয়া। অসাধারণ ডিফেন্সিব ওয়ার্ক চোখে পড়েছে। বলতেই হয় মান্দার রাও দেসাই এর কথা।  অসাধারণ টাচ দেখা গেছে তার পা থেকে। লিও মৌরার কথাও বলতে হয়। মৌরা প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছে গোল করার। প্রত্যেক ম্যাচেই নিজের স্কিল বুঝিয়ে দিয়েছে। লুসিও হিরো অব দি ম্যাচ। মাঠ পরিচালনা,অসাধারণ ট্যাকেল আর গোলের সুযোগ করে দেওয়া সবটাই হয়েছে তার দিক থেকে। বলতে হয় কাট্টিমনি না থাকলে আরও কিছু গোল হয়ত তাদের বিরুদ্ধে। পুনের অ্যাটাকিং দিক টা এতটাই সঙ্ঘবধ যে সেখানেই বারবার প্রতিহত হচ্ছিল তারা।
ইন্ডিয়ান সুপার লীগে এখন টানটান উত্তেজনা। গোয়া এখনও প্রথমে। পুনে রইল লিগের তৃতীয় স্থানে। যে কোন দলের পরপর দুটি জয় বদলে দিতে পারে রেজাল্ট। পরের ম্যাচ কলকাতার জন্য ডু অর ডাই ম্যাচ। ফলে পুনে গোয়ার এই ম্যাচের পর সবার চোখ থকবে কলকাতার দিকে।
 

 

93 Comments

Leave a Reply to Igzyuo Cancel reply

Your email address will not be published.


*


*