১ টি করে গোলও পারল না দলকে জেতাতে

 ফুটবল বোধহয় একেই বলে। যার পরতে পরতে বিস্ময়, চাহিদা, রোমাঞ্চ, আবেগ,খুশি,
দুঃখ। সেই আবহেই নিজেদের মেলালেন মুম্বাই পাতিল স্টেডিয়ামের দর্শকরা। আজকের
এই ম্যাচ থেকে দুই দলেরই দরকার ছিল ৩ পয়েন্ট। মুম্বাই এগিয়ে থেকেও ৮৭
মিনিটের মাথায় কেরালার গোল ভাসিয়ে দিল তাদের। ১-১ ড্র করে মুম্বাই এবং
কেরালা কার্যত এই বছর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেমি ফাইনালের দৌড় থেকে সরে
দাঁড়াতে হল।
ম্যাচের প্রথম থেকেই মুম্বাই খেলা নিজেদের দখলে করে নেয়। ফলস্বরূপ
অ্যাাগুইলেরার গোলে এগিয়ে যায় মুম্বাই। এরপরেও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ
আসে দলের। বলতেই হয় সুনীল ছেত্রির উদ্দেশে নর্ডের সেই অসাধারণ পাস এর কথা।
যা কাজে লাগালে হয়ত মুম্বাই কিছুটা স্বস্তি পেত। সঙ্গে সঙ্গেই
অ্যাানেল্কার ছেলেদের কাছে চলে আসে আরও একটি সুযোগ। এখানেও কাজ লাগাতে বিফল
হ্ন সুভাস সিং। অসাধারণ পারফর্ম করেও চোটের কারনে মাঠ ছাড়তে হয় সুব্রত
পালকে। সেই জায়গায় আসেন দেবজিত মজুমদার। ভাল খেললেও হঠাৎ আসা প্রতিপক্ষের
আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
আজ এই ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্টের দরকার ছিল কেরালারও। কিন্তু খেলার শুরুতে সেই
ভাবে দেখা যায়নি। মেহেতাব আজ রক্ষনে ভাল থাকলেও আক্রমন বাড়াতে হত তার দিক
থেকে। তবে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আক্রমণাত্মক দেখা যায় কেরালাকে। ১০
মিনিটের মধ্যে অন্তত পরপর ৪ টে আক্রমন আনেন তারা। এই চেষ্টার পর দলের একটা
গোল অবশ্যই দরকার ছিল। ঠিক সেই সময় যখন হয়ত সবাই ধরে নিয়েছেন খেলা মুম্বাই
পক্ষে চলেই গেছে। সেই সময় হঠাৎ জার্মানের গোলে দলের সমতা ফিরে পায় কেরালা।
যদিও এই গোলে দলে যে খেলায় ফিরে আসতে পারল তা নয়। তবে বলতে হয় এই গোলে চোখে
পরে প্রতিপক্ষের ম্যান মার্কিং অভাব। আজ কেরালার দলে বারবার চোখে পড়েছে
দলগতের অভাব। আজ কেরালার সবকিছুই যেন মাঝ মাঠ ঘিরে ছিল। উইং কে খুব একটা
ব্যবহার করা হয়নি। আর এটাই দলের পিছিয়ে থাকার কারন।
এতকিছুর পরেও খেলা থেকে কার্যত বিদায় নিতে হল এই দুই দল কে। বহু চেষ্টা,
আক্রমন, হলুদ কার্ড, ভাল খেলার সব উপাদান থাকলেও ম্যাচ থেকে পয়েন্ট ভাগ করে
নিত হল এই দুই দলকে। সেমি ফাইনালে এগোতে হলে শেষ তিনটে ম্যাচে মোট ৯
পয়েন্ট পেতেই হত। সেটা আর হল না। তবে ভাল খেলা, প্রতিযোগিতা কখনও শেষ হয়না।

88 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


*