৩-৩ ড্র এ দিল্লি এখন লীগ তালিকার তৃতীয় স্থানে

দিল্লি-৩
কেরালা-৩
 দিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ৩-৩ ড্র করে ১ পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হল দিল্লি এবং কেরালাকে। প্রথমার্ধেই ৫ টি গোল আসে দিল্লির এই স্টেডিয়ামে। খেলার শুরুতেই সান্তোসের গোলের পর দিল্লি সমর্থক বোধহয় ভেবে নিয়েছিলেন আজ ৩ পয়েন্ট নিয়েই ফিরবেন তারা। কিন্তু কেরালার অসাধারণ এই ফুটবল সবাইকে অবাক করে দেয়।
খেলার শুরুতেই প্রথম গোল আসে ৭ মিনিটের মাথায়। দস সান্তোস গোল করে দলকে এগিয়ে দেয়। কেরালার এত গোল থাকার পরেও কেন তাদের পিছিয়ে থাকতে হল তা স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। দলের রক্ষনভাগের ফাঁকফোকর চোখে পড়ছিল। খেলার প্রথম দিকে দিল্লি দখলে খেলা নিলেও হঠাৎ ই তাদের রক্ষন দাড়িয়ে যেতে থাকে। একের পর এক  গোল আসে প্রতিপক্ষের দিকে।  ৪০ মিনিটে আবার গোল আসে আদিল নবির দিক থেকে। এই গোল এর সময় বোঝা যায় ৩ পয়েন্টের জন্য কতটা মরিয়া কার্লোসের দল। খেলা যখন প্রায় অন্তিম লগ্নে, অনেকেই হয়ত ধরে নিয়েছিলেন জয় আসছে কেরালারই তখন বিশ্বমানের দুরপাল্লার শট আসে শেহেনাজের পা থেকে। এই গোলকে যদি এই মরসুমের অন্যতম সেরা গোল বলে বিবেচিত করা হয় নিশ্চয় কেউ অবেক হবেননা।
কেরালার আজ হারানোর কিছু ছিল না। চিন্তাবিহীন খেলাতেই নিজের সেরাটা দিল কেরালার দল। যে দলের রক্ষন ভাগ নিয়ে বারবার কথা উঠেছে, সেই দলই যে সমান ভাবে টক্কর দেবে তা বোঝা যায়নি। ৭ মিনিটে দিল্লির গোলের পরই খেলা সমতায় ফেরান ডগনাল।  এরপর আসে অসাধারণ আরেকটি গোল। বাঁ পায়ে ইনসুইং করে কোইম্ব্রার গোল মনে রাখার মত অবশ্যই। ৩৭ মিনিটের মাথায় জার্মানের গোল। এই গোল এর ক্ষেত্রে অবশ্যই আলাদা প্রশংসাপ্রাপ্য জার্মানের। দারুন চেস্ট ট্র্যাপ করে হাফ টার্নে যে  ভাবে গোল করলেন তা দেখার মত।  কেরালার গোলরক্ষক সন্দিপ নন্দী আজ ভাল খেলেছেন। ৩ টি গোলে প্রতিহত হলেও আরও কিছু গোল আসতেই পারত। অসাধারণ কিছু সেভ করেন তিনি।
আজ হলুদ কার্ডও দেখতে হয়েছে বেশ কিছু ফুটবলারকে। ঝিঙ্গাল, মেহেতাব, গ্রিন, আহমেদ, শেহেনাজও দেখেন হলুদ কার্ড। আজকের ম্যাচে হিরো অব দি ম্যাচ হন ক্রিস ডগনাল। এই ম্যাচে দারুন ভাবে জ্বলে উঠেছিলেন অনেকে।  ১৩ ম্যাচ খেলে দিল্লির কাছে ২২ পয়েন্ট। তালিকার ৩ নম্বরে তারা। কলকাতা এখনও তালিকার শীর্ষে। ১৪ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৭ এ খেলা শেষ করল কেরালা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


*