তালিকার দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি

দিল্লি-৩
পুনে -১ 
টানটান উত্তেজনায় ভরপুর দিল্লির নেহেরু স্টেডিয়াম দেখল জমজমাট ম্যাচ। লীগ তালিকার ৩ বনাম ৪ এর লড়াই। দুই দলের কাছে ছিল একটাই উদ্দেশ্য। লীগ তালিকার উপরে ওঠা। শেষপর্যন্ত ৩-১ জিতল দিল্লি। এর আগে পর্যন্ত পুনেকে হারাতে পারেনি দিল্লি। দিল্লি গড়ল নতুন ইতিহাস।
ম্যাচের শুরু থেকেই দিল্লি নেমেছিল দারুন উদ্যম নিয়ে। খেলার শুরুতেই একটা সুযোগ এসে যায় তাদের কাছে। সেই মুহূর্তে সবাই নিশ্চয় ভাবছিলেন দ্রুত গোলের তালিকায় আরও একটা সংযোজন হবে! কিন্তু পরাস্ত হতে হয় দিল্লিকে। শুরু থেকেই অসাধারণ ভূমিকা নিয়েছেন লেন। একের পর আক্রমণ উঠে আসে তার পা থেকে। বলতেই হয় ডগলাসের কথা। কোন দলে এই রকম গোলকিপার নিশ্চয় চাইবেন কোচেরা। একের পর এক আসা আক্রমণ রুখে দিচ্ছিলেন সুন্দরভাবে। এই ম্যাচে দিল্লিকে দেখা গেছে অন্যভাবে। সাধারণত কোচ একজন স্ট্রাইকারকে মাঠে নামান তবে আজ প্রথম থেকেই দুজন ছিল। কোচ জানতেন বিপক্ষের রক্ষনভাগে আঘাত আনতে হবে। আর এই প্ল্যানেই বাজিমাত করলেন কার্লোস। গোলের সংখ্যা ৩ হলেও আরও কিছু হতেই পারত। রবিন সিং, মালৌদা, গাতযে বেশ কিছু সুযোগ হারান। ৩৬  মিনিটের মাথায় হঠাৎ করেই গোল আসে আদিল নবির পা থেকে। তবে এক্ষেত্রে বলতেই হয় অরিন্দমের ভুলের জন্যই এই সুযোগ আসে দিল্লির কাছে।  এরপর কর্নার থেকে গোল পান আনাস। এইসময় অরিন্দমের কিছুই করার ছিল না। কারন আনাস বলটাকে গোলকিপারের সামনে বাউন্স করে। এক্ষেত্রে কোন গোলকিপারের এর কিছু করার থাকে না। বল বাউন্স হলে বল লাফাবেই সেখানেই প্রতিহত হতে হয় বিপক্ষকে।  ৮৭ মিনিটের মাথায় যেভাবে রিসে গোল করেন তা অসামান্য। মালৌদা গোল না পেলেও যে ব্যাকটা করেন তাতেই বুঝিয়ে দেন তার দক্ষতা। কুইক কাউন্টার, অ্যাটাক, ডিফেন্স প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজে লেগেছে দিল্লির। বলতেই হয়  ডেভিড প্লাট এর কাছে কার্লোসের এই আক্রমণাত্মক বুদ্ধির জয় হয়।
পুনে প্রথম দিকে আক্রমণের সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পায়। ম্যাচের শেষ মিনিটে মুতুর পা থেকে গোল আসলেও তাতে ল্যাব হয়নি পুনের। কোচ ডেভিড প্লাট আজকের পর নিশ্চয় দল কে প্রশ্ন করবেন যে কর্নারের সময় ম্যানমারকিং কিসের সমস্যা ছিল। আর এটাই হয় হারার কারন। তবে অরিন্দম বেশ কিছু নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন। নয়ত গোলের ব্যবধান আরও বাড়ত।
তবে ম্যাচে ছিল বেশ উত্তেজনা। একের পর এক কর্নার, ফ্রি কিক, হলুদ কার্ডে জেরবার ৯০ মিনিট। জনশন, শরে, মালৌদা, গভিন। কিন্তু মালউদার ওই সুশান্ত এর পায়ে চোট দেওয়া একেবারেই ভুল। লাল কার্ডের মত অপরাধ। একজন আন্তর্জাতিক ফুটবলারের থেকে এটা আশা করা যায়না। এই ম্যাচের শেষে দিল্লি তালিকার ২ এবং পুনে রইল চতুর্থ স্থানে।  প্রত্যেক মুহূর্তে পাল্টাচ্ছে  লীগ তালিকা। লড়াই প্রথম চারের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


*