চেন্নাই-৪
দিল্লি-০
চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে যখন খেলা শুরু হল তখন বোঝা যায়নি মাতরাজ্জির দল ওই ৯০ মিনিট ঝড় ওঠাবে। আর সেই ঝড়েই একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে গেল দিল্লির ডিফেন্স। চাপের মুখে পরে যে একটাই পথ থাকে তা হল ফিরে আসা তা বুঝিয়ে দিল চেন্নাইন এফ সি। জীবন মানেই টিকে থাকার তা আবার প্রমানিত। যখন কথা হচ্ছিল চেন্নাই হয়ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেনা ঠিক তখন সবাইকে ভুল প্রমান করে প্রথম চারে থাকার লড়াই শুরু করল। ৪-০ দিল্লিকে হারিয়ে মাঠে উপস্থিত ২৫ হাজার ৫৩১ জনকে দারুন উপহার দিল চেন্নাই।
ম্যাচের শুরু থেকেই দলএ জ্বলছিল জেতার বারুদ। যে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স নিয়ে বারবার কথা হয়েছে প্রশংসা করা হয়েছে। সেই দলকে এই ভাবে যে ৪-০ হারাতে পারে মাতরাজ্জির ছেলেরা তা বোধহয় অনেকেই ভাবেননি। ১৭ মিনিটের মাথায় করা মেন্ডোজার গোল বুঝিয়ে দিয়েছিল সব শেষ হয়ে যায়নি। বরং নতুন করে শুরু হল। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গেই মেন্ডোজার নামের পাশে বসল নতুন মুকুট। ১১ ম্যাচে ১০ গোল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এই প্রথম কারও গোলসংখ্যা দুটি সংখ্যায় পৌঁছল। একের পর এক গোল আসতে থাকে ১৭, ২১ ৪০ ও ৫৪ মিনিটে। খেলার শেষ পর্যন্তও মনে হয়েছে আরও একটা গোল আসতেই পারে। ছিল পেলিসেরির গোল। তারপর দুটো গোলই জেজের পা থেকে। তবে জেজের গোলের পাশে নাম থাকবে মেন্ডোজার। পেলেসেরির সঙ্গে কিছুক্ষণ খেললেন দেখলেন পাস করলেন জেজেকে। আর জেজেও সেই ভরসাও রাখলেন। অসাধারণ গোল উপহার দিলেন দর্শকদের। বিশ্বমানের অ্যাসিস্ট থেকে আবার গোল।
দিল্লি আজ হারিয়ে গেল মাতরাজ্জির বুদ্ধির কাছে। যে দলের ডিফেন্স এত ভাল। সেই দল যে এই ভাবে হারবে তা ভাবা যায়নি। চেন্নাই এর গোল এর পিছনে বেশ কিছু ভুল করেছেন ডগলাস, আনাস। চেন্নাই এর প্রথম গোল এর ক্ষেত্রেও ডগলাস আর আনাসের ভুলের মাশুল দিতে হল দলকে। আজ এই ম্যাচে সামনে চলে এল দিল্লির ডিফেন্সের ফাঁক। ভাল দলও যে ভুল করতে পারে তা দেখা গেল। আর সেই ভুলকেই কাজে লাগিয়ে চার গোলের ঝড় উঠল চেন্নাই এর দলে।
এই ম্যাচে হিরো অব দি ম্যাচের সম্মান পান মেন্ডি। তবে এই সম্মানের দাবিদার হতেই পারতেন মেন্ডোজা পা জেজে। আজকের ম্যাচের পর চেন্নাইয়ের দখলে ১৬। দিল্লির কাছে ১৮। দিল্লি রইল ৩ এবং চেন্নাই রইল ৪এ। এই জয়ের পর চেন্নাইও ঢুকে পরল প্রথম চার এ। এই ম্যাচে যেমন খুশি চেন্নাই এর দর্শকরা। তেমনই নিশ্চয় খুশি কলকাতা। কারন চেন্নাইয়ের জয়ে দিল্লি উঠে আসতে পারল না তালিকার শীর্ষে। এখনও পর্যন্ত গ্রুপ তালিকার শীর্ষে রইল কলকাতা।
Be the first to comment