নতুন ইতিহাস গোয়ার

গোয়া- ৭
মুম্বাই-০ 
অসাধারণ রাত উপহার পেল গোয়া। গোয়া ৭-০ এ হারায় মুম্বাইকে। মুম্বাই নিশ্চয় এই রাতকে ভুলতে চাইবে। আই এস এল এর এই সিজিনে এটাই সব থেকে বড় ব্যবধানের জয়। শুধু তাই নয় এই ম্যাচেই হল ১০০ গোলের প্রাপ্তি। গোয়ার কাছে এটা বোধহয় স্বপ্ন পুরনের মত। হার জিত প্রত্যেক ম্যাচেই থাকে। কিন্তু এত গোলের ব্যবধান নিশ্চয় গোয়াকে আরও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এই ম্যাচ এ একদিকে যেমন গোয়া খুশি হবে তেমনই কিছুটা হতাশ অ্যানেল্কার দল। অ্যানেলকা কাল বলেছেন তারা এই মুম্বাই দল এর জার্সি পরার যোগ্যতা হারিয়েছে।
কালকের হারটা বোধহয় বেশি করে ভুলতে চাইবেন মুম্বাই গোলকিপার সুব্রত পাল। যেকোনো দলের গোলকিপারের যেমন গোল প্রতিরোধ করা আনন্দের তেমনই একের পর এক গোল হজম করা ততটাই কষ্টের। আর তা যদি হয় ৭-০ এর ব্যবধান। মুম্বাই এর ফুটবলার এবং কোচের পক্ষে এই সময়টা আরও বেশি শক্ত। মাঠে থেকেও অ্যানেলকা কাজের কাজটি করতে পারলেন না। তার পক্ষে বোধহয় কোচ এবং ফুটবলারের দায়িত্ব পালন করাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সবসময়ই একজন এর মানুষের একইসঙ্গে কোচ এবং ফুটবলারের দায়িত্ব পালন করা বেশ  কঠিন। কাল মুম্বাই এর পক্ষে তাই মনে হচ্ছিল। অ্যানেলকা কোন ভাবে নিজের খেলায় মনঃসংযোগ করতে পারছিলেন না। ফলে দলের স্ট্রাটেজিও ঠিক করতে পারছিলেন না তিনি। বলতেই হয় সুনিল ছেত্রির কথা। অসাধারণ এই ফুটবলারকে কাজেই লাগাতে পারলেন না কোচ। সুনিল ছেত্রিকে উইং এ খেলানোর মাশুল দিতে হল এই ভাবে। এই ম্যাচে অ্যানেলকা বোধহয় সাজিয়ে উঠতে পারছিলেন না তার দলকে। যখন একদিকে পেকেউনে আক্রমণে একা  নিজে স্ট্রাইকারের পজিশনে খেলেও প্রতিটা কর্নার কেন নিলেন! সেই জায়গায় বাস্টাস কিংবা বেনেকর  সেই সুযোগ দিয়ে নিজে পেকেউনেকে আক্রমণে সাহায্য করতে পারতেন। মুম্বাই কে প্রথম থেকেই বেশ নড়বরে লেগেছে। দলের একত্রিত ভাবের অভাব ছিল। আশুতোষের এর চোট কিছুটা রক্ষন ভাগকে আরও দুর্বল করে দেয়।
গোয়া কাল প্রথম থেকেই জয়ের মানসিকতা নিয়েই মাঠে নেমেছিল। দল বোধহয় একেই বলে। ডুডু এবং সেম্বই অসাধারণ খেলেছেন। আই এস এল এর নতুন ইতিহাস গড়লেন এই ম্যাচেই। ডবল হ্যাট্রিক হল এই দুই ফুটবলারের। ডুডুকে বেশ কয়েক ম্যাচে তার সেরা দিতে দেখা যাচ্ছিল না। অসাধারণ ভাবে ম্যাচে ফিরলেন ডুডু। দলের নক্ষত্রদের তালিকায় নিজের নাম সংযোজন করলেন সেম্বই। বলতেই হয় লিও মৌরা ও জোফ্রের কথা। এই দুই ফুটবলারের কম্বিনেশনে কাল জাদু ছিল। শুধু এই দুই জনের কথা বললে কিছু না বলা থেকে যায়। মান্দার ও রোমিওকেও কাল জ্বলে উঠতে দেখেছি বারবার। গোয়ার এই ৪জন মাঝমাঠ কে জমাট করে রেখেছিল।
এই ম্যাচের হিরো অব দি ম্যাচের পুরস্কার পান ডুডু ওমাগবেমি। তবে ডুডু ছাড়াও এই পুরস্কারের দাবীদার আরও অনেকে ছিলেন। প্রতিদিনই হিরো আই এস এল এ গড়ছে নতুন ইতিহাস। চলছে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। স্বপ্ন দেখছে সবাই। এবার দেখার পালা আর কি কি অপেক্ষা করছে ফুটবল প্রেমীদের জন্য।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


*