নর্থইস্ট-২
মুম্বাই-০
শুক্রবার গুয়াহাটির ইন্দিরাগান্ধি স্টেডিয়াম দেখল এক অসাধারণ ম্যাচ। যেখানে দুই দলই প্রথম চার এ থাকার প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। তবে হয়ত মুম্বাই এর ভাগ্য সুপ্রসন্ন নয়। কারন যখন তালিকার নিচে থাকা দল ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ফিরে আসার চেষ্টা করছে ঠিক তখনই প্রথম দিকে থেকেও ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে তারা। ১৫ হাজার ১২৩ জন ভর্তি স্টেডিয়ামে নর্থইস্টের কাছে ২-০ এ হার মুম্বাই। ফুটবলার তথা দলের কোচ মাঠে থেকেও কাজের কাজটি করতে পারলনা মুম্বাই।
ম্যাচের প্রথম থেকেই খেলার আধিপত্য করে নিতে থাকে সিজার ফেরিয়াসের দল। ৪১ মিনিটের মাথায় কাজের কাজটি করে ফেলেন ব্রুনো আরিয়াস। দলের প্রথমার্ধে গোল করা যেকোন দলের পক্ষে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে। সেই কাজটি করে ফেলেন সিজার ফেরিয়াসের ছেলেরা। কামারাকে কাল বেশ সপ্রতিভ লেগেছে। গোলের পাওয়ার জন্য মরিয়া যে দল তা বোঝা যাচ্ছিল।। দ্বিতীয়ার্ধের পর নর্থইস্ট যেন জ্বলে উঠল। কোন ভাবেই প্রতিপক্ষ জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নয় তারা। নিকোলাস ভেলেয ম্যাচকে এর গতি আরও বাড়িয়ে দেয়। বেশকিছু চেষ্টা দেখা গেছে তার পা থেকে। তবে বলতেই হয় কামারার কথা। প্রথম থেকেই বেশ পরিশ্রম করেছে। এই ম্যাচে কামারার গোল দরকার ছিল। তার চেষ্টার জন্য। আর সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত গোল আসে ৮৫ মিনিটে। কথা আসবে ভেলেয আর সিমাও এর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভেলেয আর সিমাও কে বারবার জ্বলে উঠতে দেখা যাচ্ছিল। সিমাও গোল না পেলেও ফ্রি কিক টা অসাধারণ ছিল। রেহেনেশ এর প্রশংসা করতেই হয়। শেষ ম্যাচে রেহেনেশকে সেই ভাবে দেখা না গেলেও এই ম্যাচে আবার ফিরে এসেছেন।
মুম্বাই এর এই ম্যাচে জয়ের দরকার অবশ্যই ছিল। কোচ নিজে ফুটবলাররের ভূমিকা নিয়েও দলকে এগোতে পারলেন না। নিকলাস অ্যাানেলকার দল এ আত্মবিশ্বাসের অভাব বারবার চোখে পড়ছিল। তবে সুব্রত পালের কথা অবশ্যই বলতে হয়। বেশ কিছু নিশ্চিত গোল সেভ করেছে। সারান কিছু চেষ্টা করলেও ফল আসেনি।
এই ম্যাচে হিরো অব দি ম্যাচ কামারা। এই সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক। ম্যাচের শুরু থেকেই দারুন পরিশ্রম করেছে। এই ম্যাচের পর নর্থইস্ট উঠে এল চারে। কলকাতার থেকে ১ পয়েন্টে পিছিয়ে সিজার ফেরিয়াসের দল।
Be the first to comment