নর্থইস্টের জয়

 নর্থইস্ট ইউনাইটেড- ১
কলকাতা- ০
রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে বারবার সুযোগ এসেও পয়েন্ট পেল না কলকাতা। ঘরের মাঠে দর্শক ভর্তি এসেছিল অফুরন্ত উচ্ছ্বাস নিয়ে ফিরতে হল একরাশ নিরাশা নিয়ে। খেলার শুরুতেই  ৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে সিমাও সাব্রোসা। আর এটাই হয়ে থাকল নর্থইস্ট এর কাছে টারনিং পয়েন্ট। এই গোল এর সুযোগ নিয়ে খেলার প্ল্যান ই বদলে নিল নর্থইস্ট। গোল করা নয় গোল করতে না দেওয়াটাই একমাত্র লক্ষ্য করে সারা মাঠ দাপিয়ে বেরালও।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হয়ত একেই বলে। নর্থ ইস্টের কাছে আর কোন পথ ছিল না। প্রথম থেকেই নর্থইস্ট কে আজ আত্মবিশ্বাসী লেগেছে। অসাধারন টিম প্ল্যান আজ দেখা গেছে।  বলতে হয় ভেলেয এর কথা। এত সুন্দর নিয়ন্ত্রন  আর প্লেসমেন্ট বারবার চোখে পরেছে তা অসাধারণ। রেহেনেশ আজ দারুন ফর্মে ছিল। তার অনুমান ক্ষমতা প্রশংসনীয়। যতবার তার কাছে বল এসেছে লাইনে পৌঁছে গেছে বারবার। আজ সত্যি হিরো অফ দি ম্যাচ এর তাবিদার আন্দ্রে বিকে। দারুন ভূমিকায় গেছে তাকে।
তবে কলকাতা আজ প্রচুর চেষ্টা করেও জয়ের স্বাদ পেল না। এ টি কে বারবার অ্যাটাকে যাওয়া সত্ত্বেও গোল পেল না।  প্রথম সমস্যা ছিল নর্থইস্টের ডিফেন্সে। কখনও ৫ কখনও ৬ বা ৭ দাড়িয়ে ছিল ১৮ গজের মধ্যে। কোনমতে যদি সেই বেড়া টপকানো গেছে তার পিছনেই ছিল রেহেনেশ। তবে খেলার দ্বিতীয় পর্বে নর্থইস্টকে দেখে মনে হয়েছে ৯০ মিনিট কোন রকমে কলকাতা কে গোল করতে দেওয়া যাবে না। তাদের নিজেদের গোলের চাহিদা আজ আর দেখা যায়নি। কলকাতার আজ আরও একটা সমস্যা ছিল পস্তিগার না থাকা। এরইমাঝে বলতে হয় রফিকের কথা। প্রথম দিকে দলে না থাকলেও বুঝিয়ে দিয়েছে তার প্রতিভার কথা। অসাধারণ কিছু হেড এসেছে তার কাছ থেকে।  হিউমকে টিম ম্যান হিসেবে দারুন লেগেছে। তবে আজ বলতে হয় ও বারবার পিছন থেকে খেলাটা তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু ও কে এগোতে হত।
আজ হলুদ কার্ডও দেখেছে বেশ কিছু। তবে সবটাই নর্থইস্টেরই। সিলাস, রাজু, আরিয়াস, জপেয। তবে নর্থইস্ট আজ ইতিহাস গড়ল। হোম র অ্যাওয়ে দুটোতেই হারাল কলকাতাকে।।
এই ম্যাচ জেতার পর নর্থইস্ট উঠে এল ৭এ। কলকাতা রইল ৬ নম্বরে। এখনও প্রথমে গোয়া। তবে খেলাতে যে কোন সময়ই বদলে জেতে পারে অনেক কিছুই।   তাই কলকাতা হয়ত আবার জ্বলে উঠবে।  সেটাই এখন দেখার পালা।


Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


*