চেন্নাইয়ের অসাধারণ প্রত্যাবর্তন

চেন্নাই-৪
কেরালা-১
চেন্নাই এর ঘরের মাঠেই দর্শকদের এক দারুন সন্ধ্যা উপহার দিল মাতরাজ্জির দল। ৪-১ এ কেরালাকে হারিয়ে খেলায় ফিরে এল  চেন্নাই। প্রতিপক্ষের রক্ষনভাগ একবারে ভেঙে দিয়ে জয় ফুটবলাররা জয় এনে দিল দলকে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলও যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে তা আরও একবার প্রমান করল মাতরাজ্জির দল।
ম্যাচের প্রথম থেকেই চেন্নাই আজ নেমেছিল জয়ের জন্য। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে এল আজকের ম্যাচ জিততেই হত চেন্নাইকে। আর সেই কাজটাই করল দল। আজকের এই ম্যাচে তৈরি হল নতুন ইতিহাস। মেন্ডোজার হ্যাট্রিক। এই সিজিনে দুটো হ্যাট্রিক পেলেন তিনি। এমনকি শীর্ষ গোলদাতাদের তালিকায় এলানকে পিছনে ফেলে এক নম্বরে উঠে এলেন মেন্ডোজা। মেন্ডোজার ৩টি গোল ছাড়াও আসে ধনচন্দ্রের গোল। তবে আজ আলাদা করে বলতেই হয় মেন্ডোজার কথা। তিনি যে কত ভাল স্ট্রাইকার তা দেখল ফুটবলপ্রেমী। ৮০ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ে  দুরদান্ত আউটসেভ করে। একটু সময় নেয় তারপরই যে দ্বিতীয় গোলটা করেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে তার তৃতীয় গোলটা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা দায়ী কেরালা। রক্ষণভাগ পুরো হঠাৎ ই দাড়িয়ে যায় প্রতিপক্ষ। আর সেই সুযোগ কেই কাজে লাগায় চেন্নাই। এডেল বেঁটে বেশ কিছু দুরন্ত বল সেভ করেন। আজ চেন্নাইকে দলগত ভাবে দেখা গেছে। অবশ্যই প্রশংসা প্রাপ্য মেন্ডির। তার পায়ে গোল না আসলেও তিনি আজ যা করেছেন তা শিক্ষণীয়। দলের অধিনায়কের মতই কাজ করেছেন। ম্যাচের শেষে কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে যায় মাঠের ভিতর। শান্ত মাথায় সহ ফুটবলারদের আবার খেলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে। নিশ্চয় এর থেকে শিক্ষা নেবে উঠতি ফুটবলাররা।
কেরলার দলকে আজ কিছুটা ক্লান্ত লেগেছে। ম্যাচের শুরুতে কিছু আক্রমন থাকলেও সময় যেতেই ধিতিয়ে যায় সেই চেষ্টা। কোচ নিশ্চয় পরে ফুটবলারদের জিজ্ঞাসা করবেন রক্ষন ভাগের এই পরিস্থিতির কারন কি? ৯০ মিনিটের শেষ অবধি দলকে চেষ্টা করে যেতে হবে এমনই নিয়ম ফুটবলের। কিন্তু আজ কেরালার রক্ষনভাগ হঠাৎ  থেমে যায়। আক্রমনও খুব একটা আসেনি। তবে এরমধ্যেও হসুর পা থেকে কিছু চেষ্টা দেখা যায়। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।  মেহেতাবের সাজিয়ে দেওয়া বলটাকে সান্দেস গোল এ পরিণত করতে পারেননি। ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে হঠাৎ ই গোল পান জার্মান। তবে চেন্নাই এর ধনচন্দ্রএর ভুলে এই সুযোগ চলে আসে জার্মানের কাছে। যদিও এই গোল কাজের কাজটি করতে পারেনি দলের জন্য। কেরালাকে হতাশ, দায়িত্বহীন মনে হচ্ছিল আজ। যে কোন কিছুতেই লড়াই ছাড়লে চলবে না। এই ম্নত্র শিখতেই হবে। কেরালাকে প্রতিটা পদক্ষেপে লড়াকু মানসিকতা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। এটারই অভাব লাগছিল দলে।
বাকি সবাইকে পিছনে ফেলে হিরো অব দি ম্যাচের সম্মান ছিনিয়ে নেন মেন্ডোজা। ১০ ম্যাচে ৯টি গোলের অধিকারী তিনি।  এই টানটান উত্তেজনার ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেন ধনচন্দ্র, পতেনযা। । হলুদ কার্ডের কারনে পতেনযা পরের ম্যাচ খেলতে পারবেনা। এলানো আজ মাঠে না থাকলেও দল বেশ সপ্রতিভ লেগেছে এই ম্যাচের শেষে চেন্নাই উঠে এল ৬ এ। ১১ পয়েন্ট নিয়ে কেরালা রইল ৮। সাপ লুডোর মত প্রতিদিন ই প্রত্যেকটি দল উঠছে নামছে।

2 Comments

  1. Hey! This is my first visit to your blog! We are a team of volunteers and starting
    a new project in a community in the same niche. Your blog provided us useful information to work on. You have done a
    extraordinary job!

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


*