Training through video conference by UNICEF to make the General Public Aware and Help in dealing with Carona.

করোনার মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সাহায্য করতে UNICEF এর প্রশিক্ষণ #NYKS এর 193 জন প্রতিনিধি কে Video Conference এর মাধ্যমে দেওয়া হল। উন্নত প্রযুক্তির উক্ত কনফারেন্সে আমিও প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত।

সেই সংগে গতকালের পোস্টের প্রশ্নের প্রসঙ্গে কিছু বলা –

দেখুন আমরা জানি, সংবিধান অনুসারে “ফেডারেল সিস্টেমে’ আমাদের দেশ চলে। কেন্দ্র সরকার প্রকল্প বা আইন করে। তা’ সংসদে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ করাতে হয়। এবার সেই প্রকল্প বা আইন সংশ্লিষ্ট রাজ্যে লাগু হয় রাজ্য সরকারের অনুমতিতে।

১। যেমন আজ পশ্চিমবাংলার ৭৪ লক্ষ চাষি বঞ্চিত হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের তিন কিস্তিতে ৬ হাজার টাকার অনুদান পাচ্ছে না। কারন রাজ্য সরকার লাগু করেনি।

২। যেমন পশ্চিমবাংলার ৯ কোটি মানুষ ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সুবিধে পাচ্ছে না। কারন রাজ্য সরকার নেয় নি বলে।

৩। আপনারা সহমত হবেন, পশ্চিমবাংলায় দুর্নীতি ভীষণ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের চারপাশের তৃণমূল নেতাদের গত ১০ বছরের বাড়ি – গাড়ি – সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমান মূল্যায়ন করলেই বোঝা যায়।

৪। সব প্রকল্পে তৃনমূল নেতাদের কাটমানি খাওয়ার কথা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন এবং বলেন যারা নিয়েছেন তাঁরা ফেরত দিয়ে দিন। কি অবস্থা ! রাজ্যে আইন বলে কিছু নেই?
আমি অবাক হয়ে যাই তৃণমূল নেতাদের মানবিকতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে যখন দলনেত্রী কর্মীসভার ভাষণে বলেন সমব্যাথি প্রকল্প থেকে আপনারা ১০% নেবেন না।
এই সমব্যাথি প্রকল্প কি ? গরীব মানুষের বাড়িতে কোনো মৃত্যু হলে তাঁর শ্মশান কাজ করার জন্য সরকার এক কালিন ২ হাজার টাকা দেবে। সেটা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তৃণমূল নেতারা তার ১০% অর্থাৎ ২০০ টাকা কাটমানি নিয়ে থাকেন।

৫। আপনাদের মনে থাকবে রাজীব গান্ধী কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, যদি কেন্দ্র সরকার ১ টাকা পাঠায় মানুষের কাছে তা ২৫ পয়সা পৌঁছয়। মাঝখানে ৭৫% নেতারা খেয়ে নেয়। আজ একই প্রক্রিয়ায় তৃনমূল কংগ্রেসও চলছে।

৬। এই কারনে Narendramodi ji ‘জন ধন অ্যাকাউন্ট’ করেছেন যাতে সাধারন মানুষের প্রাপ্য টাকা সরাসরি সাধারন মানুষের ব্যাঙ্কে যায়। এই সপ্তাহে ২০ কোটি গরিবের ব্যাঙ্কে ৫০০ টাকা ঢুকেছে। তিন মাস এমনই হবে। ভাবুন এই টাকাটাই যদি তৃণমূলের নেতাদের হাত দিয়ে আসত, তাহলে কাটমানি কত দিতে হত?

আপনারা সকলেই আমার সাথে একমত হবেন এমন ভাবার কোনো কারন নেই। তৃণমূলের অনেক সমর্থক আমায় কাঁচা খিস্তিও দেয়। আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে জানতে চাইব –

সিপিএম এর অপশাসন থেকে বাঁচার জন্য বাংলার মানুষ পরিবর্তন চেয়ে দু’হাত তুলে মমতা ব্যানারজি কে ভোট দিয়েছিল। আজ ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর কেন এমন আশঙ্কিত হলেন যে ভোটে জেতার জন্য ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে প্রশান্ত কিশোর কে ভাড়া করতে হল।
মা-মাটি-মানুষের দল তৃণমূল এত টাকা পাচ্ছে কি ভাবে? এর জন্যই কি কাটমানি নেওয়া ?

Bjp4Bengal BJP4India

Dilip Ghosh

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


*