মুম্বই-এর দুরন্ত ক্যামবাক

মুম্বই-২
দিল্লি-০
দুরন্ত জয়। আই এস এল ২০১৫ এ চার ম্যাচে প্রথম বারের জন্য জয় পেল মুম্বাই। নিজের ঘরের মাঠে দিল্লিকে ২-০ এ হারিয়ে মুম্বাই ৮ থেকে উঠে এল ৭ । 
বুধবারের  এই ম্যাচ যেন ছিল কালকেরই প্রতিচ্ছবি। একের পর এক হলুদ কার্ড, ফুটবলারদের ঘিরে উত্তাপ ডি অয়াই পাতিল স্টেডিয়াম কে বেঁধে রেখেছিল টান টান উত্তেজনায়।
আজ খেলার মধ্যে ছিল গতি, ছন্দ, গোলের তাগিদ। প্রথম দিকে কিছুটা সময় নিয়ে খেললেও সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের খোলস ছাড়তে শুরু করে দুই দলই। বিশেষত ১৩ মিনিটের মাথায় সনি নডের পাস থেকে সুনীল ছেত্রীর অসাধারণ গোলের পর থেকেই খেলার রং পাল্টাতে শুরু করে।
প্রশংসা করতে হয় মুম্বাই ও দিল্লীর গোলকিপার সুব্রত পাল ও ডগলাস এর। তারা যে ভাবে অসাধারণ  দায়িত্ব পালন করেছেন তা দু দলের কাছেই ইতিবাচক।
এই  দিন  হিরো অফ দি ম্যাচ এর দৌড়ে নাম বলা যায় অনেকরই। তবে দুটি গোল নিয়ে এই সম্মান আসে সুনীল  ছেত্রীর নামের পাশে। তা হওয়ারই ছিল। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে যে ভাবে রিফ্লেকশণ ছিল, অসমান বাউন্স ছিল, সেখানে ইনস্টেপ ব্যবহার করে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন তা বলতেই হয়। সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে নাম আসবে সনি নডের । তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন দল বলতে কি বোঝায়। সুনীলের প্রথম গোল যেমন সনির পাস থেকে আসা বল এ।  তেমনই ৭৪ মিনিটের মাথায় সুনীলের দ্বিতীয় গোল ও সনির সহায়তায়। সনি ণোড়ডে যখন বল নিয়ে এগিয়ে ছিলেন, তখন একবার মাথা তুলে দেখে নেন পজিশন। বুঝতে পারেন সেখান তার গোল পাওয়া সম্ভব নয়, তখনই পাস করেন সুনীল কে।
দুটো দল না ভেবে যদি ভাল ফুটবলের কথা ভাবা হয়, তবে সেই ভাল ফুটবল খেলেছে আজ অনেকেই। রবীন সিং, দারুণ হেড ওয়ার্ক ছিল তার। সুভাষ সিং ও ভাল খেলেছে। শৌভিক চক্রবর্তী নাম আলাদা করে বলতেই হয়। অসাধারণ ট্যাকেল এসেছে তার পা থেকে।
তবে কালকের মত আজও হলুদ কার্ড হয়েছে অনেক। বূশটোশ, আগুলেড়া, সুনীল ছেত্রী, চীকাও, চরস, শৌভিক, সুভাষ সিং, ওডেয়া, মুলদের।
এই ম্যাচের পর ৭ ঊঠে এল মুম্বাই। দিল্লী রইল দ্বিতীয় স্থানেই। তবে মুম্বাই এই প্রথম জয় তাদের আই এস এল এ আবার ফিরিয়ে আনল। এই জয় নিশ্চয় তাদের আত্মবিশ্বাস জোগান দেবে। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


*