নেতাজী যখন স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন আন্দামানে, সেই সময় তিনি গান্ধীজিকে বলেছিলেন যে সমগ্র ভারতবাসী বোধয় পূর্ণ গণতন্ত্রের জন্য প্রস্তুত নয়। সেহেতু যদি স্বাধীনতার পর বছর খানেক সেনার দ্বারা শাসন কায়েম রাখা যায় তাহলে ভারতবাসী এক সুশৃঙ্খল জাতি হিসাবে গড়ে উঠবে। নেতাজীর দূরদর্শিতা অতুলনীয় এবং এই কারণে সারা পৃথিবী এই বীর বাঙালীকে সম্মান জানায়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বুদ্ধিজীবী বাঙালী যে ভাবে গণতন্ত্রের দুরপ্রয়োগ করছে তা সত্যিই নিন্দনীয়। গত 2দিন ধরে JNU নিয়ে বাঙলার সংবাদ মাধ্যম তোলপার। কিন্তু কি এই JNU? এটি হল 1969 সালে জওহরলাল নেহেরুর নামে তৈরি হওয়া একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যার উদ্যেশ্যে ছিল সারা ভারতের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের নামমাত্র খরচে উচ্চ শিক্ষা দেওয়া। এই ছাত্র ছাত্রীরা ‘আমার আপনার করের’ টাকায় উচ্চ শিক্ষা পেয়ে “ভারতবর্ষকে আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করাবে” এই আশায় করা। কিন্ত তার পরিবর্তে JNU ছাত্র ছাত্রীরা কি করছে? যে আফজল গুরু 2001 সালে সংসদে আতঙ্কবাদি হামলা করেছিল এবং সুপ্রিমকোর্ট যাকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল সেই আফজল গুরুর পক্ষ নিয়ে JNU ছাত্র ছাত্রীরা স্লোগান দেয় अफजल हम शर्मिंदा हैं तेरे कातिल जिंदा है भारत तेरे टुकड़े होंगे इंशाल्लाह इंशाल्लाह আফজল হাম শরমিন্দা হে, তেরে কাতিল জিন্দা হে, ভারত তেরে টুকড়ে হোংগে, ইনশাল্লাহ ইনশাল্লাহ.. এখানেই তারা থেমে থাকেনি, তারা আরও বলেছিল:- तुम कितने अफजल मारोगे घर घर से अफजल निकलेंगे पकिस्तान जिंदाबाद कश्मीर मांगे आजादी, लडके लगें आजादी कश्मीर की आजादी तक जंग रहेगी , जंग रहेगी । भारत की बर्बादी तक जंग रहेगी जंग रहेगी । अफजल की हत्या नहीं सहेंगे नहीं सहेंगे । এটাই ছিল JNU ছাত্র ছাত্রীদের ব্যবহার। আর এই ছাত্র ছাত্রীদের অসভ্য ব্যবহারের সমর্থনে বাঙলার বুদ্ধিজীবীরা কাল মিটিং মিছিল করলেন অথচ গত দুদিন আগে দক্ষিন দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের এক তরতাজা যুবতী প্রমীলা বর্মণ কে ধর্ষণ করে হত্যা করা হল এবং অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম কোন এক মিয়াঁ, তখন কিন্তু এই বুদ্ধিজীবীরা কিছু বললো না। মাস খানেক আগে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ভীষণভাবে হেনস্থা করা হল, তাঁকে বাঁচানোর জন্য রাজ্যপালকে আসতে হল। তখন কিন্তু এই বুদ্ধিজীবীরা দেখতে পাননা। তাদের চোখে ঠুলি পরা ছিল। তখন তারা মিছিলে হাঁটতে পারেন না কারণ তাদের কোমোড়ে বাত ছিল। এদের কান্ড কারখানা দেখে আমার যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডলের কথা মনে পরে গেল। যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডলের কথা আপনারা বোধয় খুব বেশী শোনেননি। অবিভক্ত বাঙলায় মোতুয়া এবং নমঃশূদ্র হিন্দুদের নেতা ছিলেন যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডল। তিনি পাকিস্তানের সাথে দেশ ভাগকে সমর্থন করে পাকিস্তানের প্রথম আইন মন্ত্রী হন 1947 সালে। যদিও বাবা সাহেব অম্বেদকর তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবুও কংগ্রেস ও কমিউনিষ্টদের প্ররোচনায় যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডলের নেতৃত্বে ভারতবর্ষের সিল্হট্ট তৎকালীন পাকিস্তানে চলে যায়।

200 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


*